ঢাকাসহ দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর থেকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সদস্য এয়ার কমোডর শাহ কাওছার আহমেদ চৌধুরীর ২৫ মে জারি করা এক সার্কুলারে এতথ্য জানানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ ও বাংলাদেশ ছাড়ার সময় কোনো যাত্রীকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে না।
কোনো যাত্রীকে আরটি-পিসিআর কোভিড টেস্ট বা হেলথ ডিক্লারেশন ফরমও পূরণ করতে হবে না। প্রত্যেকের জন্য মাস্ক পড়ার বিধিনিষেধও শিথিল করা হলো।
বেবিচক আরও জানায়, সর্বসাধারণের জন্য মাস্কের বিধিনিষেধ তুলে ফেলা হলেও যারা হাসপাতাল বা ক্লিনিকের মতো সংবেদনশীল জায়গায় কাজ করেন, তাদের মাস্ক পড়তে হবে।
যাত্রী পরিবহনে বড় বা ছোট এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে যাত্রী আনা-নেওয়ার সংখ্যায়ও কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। তবে যাত্রীরা যেসব দেশের উদ্দেশে যাবেন তাদের সেসব দেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিধিনিষেধ মানতে হবে।
হজযাত্রীদের উদ্দেশে সার্কুলারে বলা হয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মানতে হবে। মার্স ভাইরাসে আক্রান্তের আশংকা থাকায় সবাইকে উট থেকে দূরে থাকতে হবে।
শনিবার (২৭ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা সংক্রান্ত ২৪ ঘণ্টার তথ্যে জানানো হয়েছে, ৬১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এসময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। শনাক্তের হার ৬.৫৭ শতাংশ।
গত ৫ মে করোনা মহামারি সংক্রান্ত বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করে জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস নিজে এই ঘোষণা দেন।
সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘বড় আশা নিয়ে আজ আমি করোনা মহামারি সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করছি। প্রত্যাশা করছি, আমাদের সামনের দিনগুলো সুন্দর ও নিরাপদ হবে।
জেএন/পিআর