প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারগলুকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তার বিজয় উদযাপনে রাজধানী আঙ্কারাসহ দেশটির বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। এ জয়ের খবরে এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বনেতারাও।
বাংলাদেশ সময় রোববার (২৮ মে) রাত ১২টার আগেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এরদোয়ানের বিজয়ের খবর বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর থেকেই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে ভাসছেন এরদোয়ান। মুসলিম বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি অমুসলিম নেতারাও তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য পাঠিয়েছেন।
কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারের ইচ্ছে পোষণ করেছেন।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ এরদোয়ানের জয়কে তুরস্কের বিজয় বলে আখ্যা দিয়েছেন। এরদোয়ানের বিজয়কে অভূতপূর্ব উল্লেখ করে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ওরবান।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তুরস্কের মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, দেশটির বাদশাহ সালমান এরদোয়ানকে তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নির্বাচনে জয়ের পর এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এরদোয়ানকে তার বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় বাইডেন বলেন, দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোতে ন্যাটোর মিত্র হিসেবে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবো।
তাছাড়া অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তুরস্ককে একটি মূল্যবান ন্যাটো মিত্র ও অংশীদার বলে অভিহিত করেছেন।
প্রিয় বন্ধু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এরদোয়ানের বিজয় প্রমাণ করে তুর্কি জনগণ তার নিঃস্বার্থ কাজ ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেছে।
জয়ের জন্য এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অভিনন্দন জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর উল্লেখ করেছেন, উভয় দেশের জনগণ ও অর্থনীতি কতটা গভীরভাবে জড়িত। তাছাড়া একটি নতুন উদ্দীপনার সঙ্গে সাধারণ এজেন্ডাকে এগিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফ্রান্স ও তুরস্ক এগিয়ে যেতে থাকবে।
অভিনন্দন জানিয়েছেন, ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন। দুইজনেই তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ন্যাটো মিত্র হিসেবে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলাসহ যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করবেন।
এছাড়াও আর্মেনিয়া, সুইডেন, ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি, হাঙ্গেরি, আজারবাইজান, সুদান, সার্বিয়া, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, আমিরাত, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানরাও এরদোয়ানকে অভিনন্দন ও সম্পর্ক জোরদারের কথা জানিয়েছেন।
গত ২০ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করে আসা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান রোববারের ভোটে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে দেশটির মসনদে বসছেন। রান-অফ নির্বাচনে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
জেএন/এমআর