ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় গাম্ভীর্যে ইপিজেডে পাহাড়িদের বৌদ্ধ মন্দির ”চট্টগ্রাম মৈত্রী বনবিহার”-এ ৯ম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার মৈত্রী বনবিহার অনুষ্ঠিত এ চীবর উৎসবে প্রায় ১২ হাজারের অধিক বৌদ্ধ নর-নারি অংশগ্রহণ করেন।
সকালে র্যালীর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া পূণ্যস্থানে পূজনীয় ভিক্ষু সংঘ অাসন গ্রহণ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন নানিয়াচর রত্নাঙ্কুর বনবিহারের অধ্যক্ষ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির । ধর্মালোচক ছিলেন রাজবন বিহারের ভিক্ষু শ্রীমৎ জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির। এরপর পঞ্চশীল গ্রহণ বুদ্ধপূজা, সংঘদান অস্টপরিষ্কার দান ও ভিক্ষু সংঘের ধর্মীয় দেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির প্রথম অধিবেশন শেষ হয়।
মধ্যাহ্ণ বিরতির পর দ্বিতীয় পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কল্যাণমিত্র চাকমা। এতে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এম.এ. লতিফ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, কলেন চাকমা ও মার্থিনা চাকমা।
স্বাগত বক্তব্যে বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কল্যাণমিত্র চাকমা অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য প্রশাসন, স্থানীয় জনগণ ও বেপজা স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য এম. এ লতিফ বলেন, “ধর্ম যার যার, কিন্তু রাষ্ট্র সবার। পাহাড় এবং সমতলের ব্যবধান কমিয়ে অানার লক্ষ্যে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।।”
এরপর জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে পরমপূজ্য ভিক্ষু সংঘের ধর্মীয় দেশনা প্রদান ও সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।