তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা পেশাদার সমালোচক আর কিছু আছে রাজনৈতিক সমালোচক। যারা বলছেন এটা ঘাটতির বাজেট, তারা পেশাদার সমালোচক।
পেশাদার সমালোচকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা রিসার্চ করে সমালোচনা করেন। এটা কতটুকু সত্য সেটা জানি না, কারণ পড়াশোনা করে সমালোচনা করলে বাজেট নিয়ে এ ধরনের কথা বলতে পারতেন না।
কারণ বাংলাদেশের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫.২ শতাংশ, ভারতের হলো ৫.৯, যুক্তরাজ্যে ৬ এবং ১০০ এর বেশি দেশে বাজেট ঘাটতি রয়েছে। তাহলে বাংলাদেশের বাজেট কীভাবে ঘাটতির বাজেট হলো?
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা রাজনৈতিক সমালোচক তাদের জন্য বলবো এটা গরিবের বাজেট। কারণ দুই কোটি মানুষকে কম দামে খাদ্য দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই যারা বাজেট নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা এখান থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
কারণ তত্ত্বাবধায়কের দাবি মাঠে মারা গেছে। পৃথিবীর কোনো দেশই তাদের দাবি সাপোর্ট করেনি।
সাম্প্রতিক মার্কিন ভিসা নীতির বিষয়ে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো আগেও ছিল এখনও আছে। তাদের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এতটুকুও নষ্ট হয়নি।
তবে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন সেটা হলো দক্ষিণ আমেরিকার সাথেও বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভালো। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেসব মামলার বাদি, তদন্ত কর্মকর্তা ও গুম খুনের সাথে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের তালিকা করেছে দলটি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারও বিএনপির যেসব নেতাকর্মী আগুন সন্ত্রাসে জড়িত ছিল এবং নির্বাচনে বাঁধা দিয়েছে তাদেরও তালিকা করছে। এসব তালিকা যেখানে পৌঁছানোর সেখানে পৌঁছে দেবো এবং আমি নিজেও একটি মামলার বাদি হবো।
জেএন/পিআর