পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত হতে ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে ঢাকায় নিবন্ধিত ১৩ হাজার অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। স্ক্র্যাপকরণ করা সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মধ্যে ১৫১টি দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন রিপ্লেসমেন্ট সিএনজি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সিএনজি মালিকরা।
বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৩ মে পত্রিকায় প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়। এতে বলা হয় ২০০১, ২০০২, ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে তৈরিকৃত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণ করা হবে। ফলে সিএনজি মালিকরা এসব মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি স্ক্র্যাপকরণের জন্য বিআরটিএ’ কার্যালয়ে তালিকাভুক্ত করেন। গত ৪-৫ বছর ধরে এসব সিএনজি চালিত অটোরিক্সাগুলো মালিকরা চিন্তিত ছিলেন। এসব সিএনজিগুলো স্ক্র্যাপকরণের কারণে এখন তারা রিপ্লেসমেন্ট নম্বর দিয়ে নতুন সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিতে পারবেন। ফলে মালিকদের পরিবারে নতুন আয়ের পথ উম্মুক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার করে ২৬ হাজার সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধন দিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এই সব সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনের সময় মেয়াদ বা আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ বছর। পরে মালিক ও চালকদের দাবির মুখে তিন দফায় অটোরিকশাগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়। যে কারণে পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত হতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যে ঢাকায় নিবন্ধিত ১৩ হাজার অটোরিকশা ইতোমধ্যে স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়।
সিএনজি চালিত অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণ করতে পেরে খুশি ফয়সল মাহমুদ। তিনি বলেন, অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন এসব সিএনজি চালিত অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরল করতে ঝামেলাই পড়তে পারে। কিন্তু কোন ঝামেলা ছাড়াই সিএনজি অটোরিক্সাগুলো স্ক্র্যাপকরণ করা হয়। দালালের ব্যাপারে বিআরটিএ এর কর্মকর্তারা ছিলেন কঠোর।
রিপ্লেসেমন্টে সিএনজি দেয়ার দাবি জানিয়ে সাইফুল ইসলাম শুভ জানান, দালাল ছাড়াই আমার দুইটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণ করেছি। এখন আমাদের দাবি ওইসব স্ক্র্যাপকরণ সিএনজি যেন দ্রুত রিপ্লেসেমন্টে সিএনজি দেয়া হয়। যাতে আমাদের আয়ের পথ উম্মুক্ত হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিআরটিএর উপ-পরিচালক (ইঞ্জি) তৌহিদুল হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সিএনজি চালিত অটোরিক্সাগুলো স্ক্র্যাপকরণ করা হয়েছে। দালালমুক্তভাবে সিএনজি মালিকদের সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সরকারের নির্দেশনা পেলে রিপ্লেসমেন্ট সিএনজি অটোরিক্সার অনুমোদন দেয়া হবে।
জেএন/এফও/এমআর