আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে থানায় জিডি করেছেন তারই সহশিল্পী রিয়া চৌধুরী। গত শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা থানায় তিনি এই জিডি করেন। জিডি নম্বর ৬৪৪।
এরই মধ্যে আমাদের হাতে এসেছে জিডির কপি। জিডিতে বলা হয়েছে, ৭ জুন বিকেলে হিরো আলমের ফেসবুক পেজ ‘হিরো আলম বগুড়া’ থেকে রিয়া চৌধুরী দেখতে পান, হিরো আলমের কথিত সহযোগী রিয়া মনি (২৭) নামধারী একটি মেয়ে তাকে অশ্লীল গালাগাল করছেন। এতে হিরো আলমের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি রিয়া চৌধুরীর। সামাজিকভাবে রিয়া চৌধুরীর মানহানি ও ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও জানা যায়, ‘গালাগালের বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত না থাকায় আপাতত জিডি করে রাখছেন। পরে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে মামলা করবেন বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জিডি হয়েছে। তবে এটা সাইবার সংক্রান্ত অভিযোগ হওয়ায় জিডিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাইবার ইউনিটে পাঠানো হবে।’
জিডি থেকে জানা যায়, বাদী রিয়া চৌধুরীর বাসা রাজধানীর পশ্চিম মেরুল বাড্ডায়। তিনি সদ্য মুক্তি পাওয়া হিরো আলমের ‘টোকাই’ চলচ্চিত্রে হিরো আলমের নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
জিডির বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘আমার পেজ থেকে একটি ভিডিও আপলোড হয়েছে। এতে যে বক্তব্য আছে, তাতে রিয়া চৌধুরীর নাম বলা হয়নি। কিন্তু সে অভিযোগ করছে তাকে নাকি গালিগালাজ করা হয়েছে। আর পেজ তো আমি চালাই না। পেজ অ্যাডমিনরা চালায়। সে প্রমাণ করুক যে আমি তাকে গালিগালাজ করেছি।’
শুধু তাই নয়, রিয়া চৌধুরীর জিডিকে পাত্তাই দিচ্ছেন না হিরো আলম। বললেন, ‘জিডি কোনো ফ্যাক্টর নাকি।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। ঢাকার আসনে যদি এমপি হয়ে যাই, অনেকে এটি মানতে পারছেন না। তারাই এ ধরনের জিডি করিয়েছেন।’
যে ভিডিও নিয়ে জিডি, সেটিতে রিয়া চৌধুরীকে নিয়ে কোনো অশ্লীল কথা নেই বলেও দাবি করেছেন হিরো আলম।
২ জুন মুক্তি পেয়েছে হিরো আলম অভিনীত চলচ্চিত্র ‘টোকাই’। হিরো আলমের প্রযোজনায় মুকুল নেত্রবাদীর গল্পে ‘টোকাই’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন বাবুল রেজা। এতে প্রবীণ নির্মাতা কাজী হায়াৎ, চিত্রনায়ক মেহেদী, রেহেনা জলি, দুলারী, ড্যানি রাজ, রিনা খানের মতো অভিজ্ঞ শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মনির খান, সুইটি ও রাশেদ জামান।
জেএন/এমআর