চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বিগত ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ সরকারী সকল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি দিন বদলের সনদের কথা বলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে গিয়েছি। আগামী ২০২৩ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরী। এজন্য নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
আজ ১৭ জুন শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরীর আইস ফ্যাক্টরী রোডস্থ পিটিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্মশালার আয়োজন করেন। বিভাগের ১১ জেলার একজন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশ নেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দেশে আগে কি ছিল, আর এখন কি হয়েছে, শেখ হাসিনার মূলনীতি, গ্রাম-শহরে উন্নতি, আমার গ্রাম, আমার শহর। অর্থ্যাৎ গ্রামকে শহর বানাবো না, আমাদের আশপাশে যা কিছু আছে তা নিয়ে শহরের আদলে গ্রামকে সাজাবো-এটাই এপিএ’র মূল বিষয়। আগে অফিসে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা ফাইলে সই করতে হতো, কখন ডাকযোগে চিঠি আসবে, পিয়ন এসে দিয়ে যাবে-আমরা আগে অপেক্ষায় থাকতাম, আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল ধরণের ম্যাসেজ মুহুর্তের মধ্যেই আদান-প্রদান হচ্ছে। মূলতঃ সকল সেবা এখন হাতের মুঠোয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০টি সূচক এপিএ-তে অর্ন্তভূক্ত করা যেতে পারে। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকে নিজের সততা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে সরকারী সেবা সহজ থেকে আরও সহজতর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরবসময় চারটি ‘ব’ অনুসরণ করতে হবে। যেমন-ব্যবহার, বিচরণ, বচন ও বসন অর্থ্যাৎ ব্যবহার ঠিক রাখতে হবে, যেখানে সেখানে বিচরণ করা যাবেনা, বচন খারাপ করা যাবে না, বসন বা পোষাক পরিমার্জিত থাকতে হবে।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও পিএস টু বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখার যুগ্ম সচিব মোঃ হামিদুল হক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপ-সচিব মোঃ খোরশেদ আলম খান ও মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপ-সচিব এ.এস.এম ফেরদৌস।
জেএন/এমআর