মিরসরাইয়ের খুনি ১৮ বছর পর লক্ষীপুর থেকে গ্রেফতার

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে নিজ ভাসুরকে বটি ও দা দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার পর দীর্ঘ ১৮ বছর আত্মগোপনে ছিলেন রহিমা বেগম।

- Advertisement -

তবে নিজ পরিচয় গোপন করেও শেষ রক্ষা হলো না তার। র‌্যাব-৭ এর বিশেষ টিম কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন লক্ষীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গতকাল সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

- Advertisement -google news follower

গ্রেফতার রহিমা বেগম (৬০) মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানা মরগং এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।

র‌্যাব জানায়, গত ২০০৫ সালের ৫ নভেম্বর বিকেলে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে নুর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম ভিকটিম আবুল কালাম প্রকাশ সাহেব মিয়াকে সুকৌশলে পাতাকোট এলাকায় ডেকে নিয়ে বটি ও দা দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে নির্জন স্থান পুকুরে ফেলে দেয়।

- Advertisement -islamibank

পরবর্তীতে স্থানীয়রা পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম লাশটি তার স্বামীর বলে সনাক্ত করেন। উক্ত অমানবিক ও পাশবিক চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সে সময় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় নিহ আবুল কালামের স্ত্রী বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই আসামী রহিমা বেগম (৬০) আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।

আসামী রহিমা বেগম দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত পুলিশের তদন্ত এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আবুল কালামকে হত্যার দায়ে রহিমা ও তার স্বামী নূর মোহাম্মদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে র‌্যাব-৭।

সোমবার গোপন সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারে রহিমা ছদ্মনামে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন লক্ষীপুর এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে রহিমাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবছার জানান, মিরসরাইয়ে ভাসুরকে নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করার পর আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনাম ধারণ করে দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন রহিমা বেগম।

গতকাল সোমবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন লক্ষীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM