চট্টগ্রাম বিভাগগের বিভাগীয় কমিশনার ও বিভাগের জেলা প্রশাসকগণের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ আনোয়ার পাশা। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান (চট্টগ্রাম), ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি (বান্দরবান), মোহাম্মদ শামীম আলম (কুমিল্লা), মোঃ শাহগীর আলম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মোঃ কামরুল হাসান (চাঁদপুর), দেওয়ান মাহবুবুর রহমান (নোয়াখালী), মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ (রক্ষ্মীপুর), আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান (ফেনী), মুহম্মদ শাহীন ইমরান (কক্সবাজার), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (রাঙামাটি) ও মোঃ সহিদুজ্জামান (খাগড়াছড়ি পার্বত্য)। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বিগত ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ সরকারী সকল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি দিন বদলের সনদের কথা বলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে গিয়েছি। আগামী ২০২৩ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরী। এজন্য নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। দেশে আগে কি ছিল, আর এখন কি হয়েছে, শেখ হাসিনার মূলনীতি, গ্রাম-শহরে উন্নতি, আমার গ্রাম, আমার শহর। অর্থ্যাৎ গ্রামকে শহর বানাবো না, আমাদের আশপাশে যা কিছু আছে তা নিয়ে শহরের আদলে গ্রামকে সাজাবো-এটাই এপিএ’র মূল বিষয়। আগে অফিসে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা ফাইলে সই করতে হতো, কখন ডাকযোগে চিঠি আসবে, পিয়ন এসে দিয়ে যাবে-আমরা আগে অপেক্ষায় থাকতাম, আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল ধরণের ম্যাসেজ মুহুর্তের মধ্যেই আদান-প্রদান হচ্ছে। মূলতঃ সকল সেবা এখন হাতের মুঠোয়।
জেএন/এমআর