রাজশাহী সিটিতে পুরাতন নগর পিতার ওপরই ভরসা রেখেছেন সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দারা। সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন।
এর মধ্যদিয়ে টানা দ্বিতীয় এবং মোট তৃতীয়বার সিটির দায়িত্ব লিটনের হাতে তুলে দিলেন রাজশাহীবাসী। বুধবার (২১ জুন) রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে লিটন পান ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে ভোট পড়ে ১৩ হাজার ৪৮৩টি। লাঙ্গল প্রতীক ভোট পায় ১০ হাজার ২৭২টি এবং জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ারের গোলাপফুল ১১ হাজার ৭১৩টি ভোট পায়।
রাজশাহীতে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন চার জন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেছেন।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভালোই ভোট পড়েছে। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫২ শতাংশ ভোট পড়ে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ছয়জন।
১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে। ভোটকক্ষ ছিল ১১৫৩টি। ১৪৬৩টি ক্যামেরার মাধ্যমে রাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হয়।
জেএন/পিআর