আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন ‘টাইটান’ এর পাঁচ আরোহীর সবাই মারা গেছে। তাদের মরদেহও হয়তো কখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাবমেরিনে থাকা যাত্রীরা হলেন- ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং (৫৮), ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ওশনগেটের শীর্ষ নির্বাহী স্টকটন রাশ (৬১) ও সাবমেরিনটির চালক ও ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পল হেনরি নারগিওলেট (৭৭)।
শুক্রবার (২৩ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ডাইভ পরিচালনাকারী সংস্থা ওশানগেট এক বিবৃতিতে টাইটানে মৃত্যু হওয়া পাঁচ ব্যক্তিকে ‘সত্যিকারের অনুসন্ধানকারী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
মার্কিন কোস্টগার্ড টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের পাশেই নিখোঁজ সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে অনুসন্ধান অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া মার্কিন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল জন মাগার বলেন, টাইটানের ৫টি বড় টুকরো পাওয়া গেছে।
ভয়ংকর বিস্ফোরণের ফলেই টাইটান ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই পাঁচজনের লাশ হয়তো কখনও আমরা খুঁজে পাবো না।
এর আগে, গত ১৮ জুন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য সমুদ্রের অতল গভীরে ডুব দেয় সাবমেরিনটি। এর কিছুক্ষণ পরই সমুদ্রের ওপরে থাকা জাহাজের সঙ্গে সাবমেরিনটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জেএন/পিআর