ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাইওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চালকও আর বেঁচে নেই। বিস্ফোরণের পর অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খুলে বের হতে সক্ষম হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না তাকে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত অ্যাম্বুলেন্সচালকের নাম মৃদুল মালো (২৫)। তিনি ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার তকি মোল্যা সড়কের সুভাষ চন্দ্র মালোর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়। দরজা খুলে কোনোমতে বের হতে পারেন চালক। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৩টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা লাগে অ্যাম্বুলেন্সটির। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়।
এ দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সচালকসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আটজনে। নিহতদের তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী ও দুই শিশু।
চালক ছাড়া বাকি নিহত সাতজন হলেন- বোয়ালমারীর ফেলাননগর গ্রামের আজিজার শেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫০), মেয়ে কমলা (৩০) ও আলফাডাঙ্গার বিউটি (২৬), নিহত কমলার ছেলে আরিফ (১২), আফসা (১), এবং হাসিব (১০) এবং নিহত বিউটির ছেলে মেহেদী (১০)।
ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন ওই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রীরা। দ্রুতগামী অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৭ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ফায়ার সার্ভিস ভাঙ্গা স্টেশনের ইনচার্জ আবু জাফর বলেন, খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসময় গাড়িটি জ্বলছিল। ভেতরেই নারী-শিশুসহ ৭ জন মারা গেছে।
গাড়িটির সামনের অংশে আগুন ধরে গিয়েছিল। রেলিংয়ে ধাক্কা লেগেই আগুন ধরে যায়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে গাড়ির ভেতর থেকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জেএন/পিআর