লাতিন আমেরিকার দুই তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়রের বন্ধুত্বের কথা কে না জানে। সদ্য সাবেক সতীর্থ হয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই দুই ফুটবলার। মেসি নেইমারের বন্ধুত্বের শুরু হয় স্প্যানিস ক্লাব বার্সেলোনা দিয়ে। পিএসজিতে এসে সে বন্ধুত্ব হয় আরও গাঢ়।
মেসির পিএসজি ছাড়ার ঘোষণাতে ভাই সম্বোধন করে স্ট্যাটাস দেন নেইমার। মেসি নেইমারের কাছে কখনো বড় ভাই কখনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পিএসজি ছাড়ার আগে সেই ছোট ভাই বা বন্ধুকে নিজের একটি উপহার দিয়ে যান আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।
ক্লাব সভাপতির নাসের আল খেলাইফি মেসি ও সার্জিও রামোসকে পিএসজির হয়ে শেষ ম্যাচ খেলার দিন দুইটি উপহার তুলে দেন। মেসি তার সে উপহার দিয়ে দেন নেইমারকে। নেইমার অবশ্য সেটাকে নিজের কাছে রাখেননি।
তবে কী করেছেন মেসির থেকে পাওয়া সেই উপহার? জানা গেছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্য করতে সেই উপহার কাজে লাগিয়েছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। বিষয়টি জানিয়েছে ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ‘লা পারিসিয়ান।’
লিগ ওয়ানে বিদায়ী মৌসুমে ক্লেরমঁর বিপক্ষে ৩ জুন ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলেন মেসি। ওই ম্যাচের আগে ক্লাবটির সভাপতি নাসের আল খেলাইফি মেসি ও রামোসকে স্মারক উপহার দেন।
মেসি পিএসজিতে ৩০ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন—এই জার্সি নম্বরকে সোনালি রঙে ভাস্কর্য বানিয়ে মেসির হাতে তুলে দেন ফরাসি ক্লাবটির খেলাইফি। রামোসও একই রকম উপহার পান । পিএসজি ছাড়ার আগে ক্লাবটিতে ৪ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন।
মেসি তার বিদায় সংবর্ধনা পাওয়া উপহারটি উপহার নিজের কাছে রাখেননি। বন্ধু ও সদ্য সাবেতক হওয়া ক্লাব সতীর্থ নেইমারের হাতে উপহারটি তুলে দিয়েছিলেন। ব্রাজিলিয়ান তারকা সেটি দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছেন।
ব্রাজিলে নেইমারের নিজের নামে ফাউন্ডেশন আছে। সেই ফাউন্ডেশন থেকে বিভিন্ন দাতব্য কাজ করেন নেইমার। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্য করেন। মেসির দেয়া সেই উপহার এ জন্যই নিলামে তুলেছিলেন নেইমার।
লা পারিসিয়ানের প্রতিবেদনে জানা যায়, মেসির সেই উপহারটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ইউরোয় (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা) কিনে নেন ব্রাজিলের সংবাদকর্মী, ইউটিউবার ও স্ট্রিমার কাসিমিরো। নেইমারের কাছ থেকে এই ভাস্কর্য কেনার সুবিধাও পাচ্ছেন ক্যাসিমিরো।
একটি বিলাসবহুল বাড়িতে দুই রাত বিনা পয়সায় থাকার পাশাপাশি ব্রাজিলের অভিনেত্রী ডেবোরা সেক্কোর সঙ্গে নৈশভোজের সুযোগও পাবেন ক্যাসিমিরো।
জেএন/পিআর