বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেছেন, ট্যানারি মালিকদের বলেছি চামড়া বিক্রেতাদের ঠকালে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়ে দেব। সরকার চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছে। এজন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসন সবাই এক সাথে কাজ করছে। বুধবার (২৮ জুন) দুপুরে রংপুর নগরীর সাগরপাড়স্থ তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যারা কোরবানি দেয় তারা মূলত এই চামড়া বিক্রি করে না। কোরবানির চামড়া সাহায্য হিসেবে মাদ্রাসা, এতিমখানায় দেওয়া হয়। তারা যেন চামড়ার ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য আমরা ঢাকায় এক সপ্তাহ চামড়া ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছি। তাই বাধ্য হয়ে তারা লবন লাগিয়ে ৭-৮ দিন চামড়া সংরক্ষণ করবেন।
এতে করে ট্যানারি মালিকরা সুযোগটা নিতে পারবে না। এ বছর বড় গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা করা হয়েছে। এখন সমস্যা হচ্ছে এতে প্রায় ২০০ টাকার লবন লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা অ্যাম্বাসিগুলোতে শোকেজিং করা হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের পাটজাত পণ্যগুলোর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া পলিথিন পরিবেশের জন্য খারাপ, তাই বৈশ্বিকভাবে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে। আমরা আশা করছি দুই-তিন বছরের মধ্যে আমাদের দেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট দুই-তিন নম্বরে চলে আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওভারঅল জিনিষপত্রের দাম বেড়েছে। কিছুটা বৈশ্বিক কারণে, কিছুটা সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের কারণে।
সরকার জিনিষপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
জেএন/এমআর