বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে শিগগিরই এই ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে।
পিডিবি জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সিনক্রোনাইজড হয়েছে। ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি শিগগিরই পরীক্ষা কার্যক্রম শেষে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দিতে পারবে।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এ কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১০৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
জেএন/পিআর