কাঁচামরিচের বাজার লাগামহীন। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। শুক্রবার (৩০ জুন) চট্টগ্রামের কাজির দেউরি বাজার, বহদ্দারহাট, কর্ণফুলী মার্কেট, পাহাড়তলী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে এ দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।
দেশে বেশকিছু দিন ধরেই লাগামছাড়া কাঁচামরিচের বাজার। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ২৫ জুন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। তবুও কমছে না মরিচের দাম। বরং বেড়েই চলেছে কাঁচামরিচের দাম। নগরীর বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। যা ক্রয়সীমার একেবারেই বাইরে বলে দাবি ক্রেতাদের।
তারা বলেন, প্রতিবছর ঈদকে ঘিরে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বাড়ে। সরকার ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এরপরও কমছে না দাম। এর পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীরা দায়ী।
হাকিম মোল্লা নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে কাঁচামরিচের দাম অসম্ভব হারে বাড়ছে। কেন মরিচের এত দাম হবে? ইতোমধ্যে সরকার মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।
অন্য এক নারী ক্রেতা জানান, মরিচ ছাড়া তরকারি রান্না করা যায় না। অন্য মসলা না থাকলেও চলে; কিন্তু মরিচ ছাড়া তরকারি স্বাদ হয় না। কিন্তু যেভাবে মরিচের দাম বাড়ছে; মরিচ কেনাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
এদিকে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী কাঁচামরিচের বাজার। মূলত বর্ষকাল হওয়ায় ও ঈদের কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে কাঁচামরিচের। এ ছাড়া পাইকারিতেই কেজিতে দাম পড়ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকার ওপরে।
আলামীন নামে এক বিক্রেতা জানান, এক সপ্তাহ ধরে কোরবানির পশু আনা-নেওয়ার কাজে ট্রাকগুলো ব্যস্ত থাকায় মরিচের সরবরাহ তেমন হয়নি। পাশাপাশি এখন বৃষ্টির সময়। এ সময়ে এমনিতেই দাম বেড়ে যায় মরিচের।
আরেক বিক্রেতা রহমত উল্লাহ বলেন, পাইকারিতে কাঁচামরিচ কিনতে হচ্ছে ৫৫০ টাকার ওপরে। রিয়াজ উদ্দিন বাজার থেকে ৫৫০ টাকায় ২০ কেজি মরিচ কিনে এনেছি। তবে দাম বেশি হওয়ায় ও ঈদের সময় হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে না।
কাঁচামরিচের এই ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।
আর বিক্রেতারা বলেন, সরবরাহ কম থাকার পাশাপাশি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছে করেও দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে। এ ছাড়া ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকলে; দাম কমে আসবে।