দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে জিরো টলারেন্স নীতিতে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করা হয় জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিগ্রস্থ জরিপ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ৫৮টি বিভাগীয় মামলা চলমান। বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্থ হওয়ায় ৩১ জন জরিপ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
জরিপের সব স্তরে ঢাকা জোনের ভূমি মালিকরা এসএমএস ও ইমেইল পেয়ে থাকেন যা পর্যায়ক্রমে সব জোনে প্রয়োগ চলমান রয়েছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার আওতায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক সভা এবং সেমিনার আয়োজন করা হয়।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সেবা গ্রহীতাদের সেবা প্রদান করা হয়। ডাক বিভাগের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতাদের বাসায় ম্যাপ পৌঁছে দেওয়া হয়। জরিপ কার্যক্রম ডিজিটাইজ করার মাধ্যমে এ ব্যাপারে দুর্নীতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম নাজমা আকতারের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন সংশোধনীর জন্য গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। এ আইনটি সংশোধিত হলে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
বর্তমানে সারাদেশে ডিজিটাল জরিপ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী। ডিজিটাল জরিপ হলে মামলার সংখ্যা অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভূমিমন্ত্রী।
জেএন/পিআর