চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট লিংক রোডের টোল হার নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গাড়ি ভেদে ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। টোল আদায় এবং সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করেছে সিডিএ।
নির্ধারিত টোল হার অনুযায়ী সড়ক অতিক্রমকারী মোটরসাইকেলকে ১০ টাকা, অটোরিকশাকে ১৫ টাকা এবং কার, জিপ ও মাইক্রোবাসকে দিতে হবে ৫০ টাকা। পিকআপ ও মিনিবাসকে দিতে হবে ৮০ টাকা। এছাড়া সড়কটিতে চলাচলকারী বড় বাসকে ১০০ টাকা, ট্রাককে ১২০ টাকা, বড় ট্রাককে ১৫০ টাকা এবং ট্রেইলার ও কাভার্ডভ্যানকে টোল দিতে হবে ২০০ টাকা।
সিডিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, সংশোধিত ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যানে (ডিপিপি) প্রকল্প ব্যয় ৩২০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫৩ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। এরপর এই অতিরিক্ত ৩৩ কোটি টাকা সিডিএর নিজস্ব তহবিল থেকে দিতে নির্দেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সড়কটিতে টোল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিডিএ।
আবার নির্মাণ শেষ হলেই সড়কটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন অতিরিক্ত অতিরিক্ত ৩৩ কোটি টাকা টোলে আদায়ের পর সড়কটি চসিককে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে টোল আদায়কারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, প্রকল্পের ডিপিপি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হয়েছে। মূলত প্রকল্পের অতিরিক্ত টাকা তুলতে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় করতে ৫ বছরের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। এরপর প্রকল্পের টাকা ওঠে গেলে সড়কটি চসিককে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর যানজট সমস্যা সমাধানের জন্য বায়েজিদ বোস্তামি থেকে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করছে সিডিএ। চার লেনবিশিষ্ট সড়কটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩২০ কোটি টাকা। এরপর তা বেড়ে ৩৫৩ কোটিতে দাঁড়ায়। একাধিকবার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০১৯ সালে শেষ করার কথা ছিল। পরবর্তীতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত আবার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
জেএন/এমআর