২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই অঝোর কান্না থেকে তামিম ইকবালের মুখে উজ্জ্বল হাসি। অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন জন্মস্থান চট্টগ্রামে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা জানালেন ঢাকায় গণভবনের সামনে।
মাঝখানের সময়ে ঘটেছে অনেক কিছুই। তবে প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’মাশরাফি বিন মর্তুজা।
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়েই গণভবনে যান তামিম ইকবাল। আরও ছিলেন তামিমের স্ত্রী আয়েশা ইকবাল খান ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই অবসর ভেঙে ফেরার কথা জানান তামিম। তিনি যখন কথা বলছিলেন, তখন পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাশরাফি ।
তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানাননি তিনি। তবে পরে প্রধানমন্ত্রী, তামিম ও তার স্ত্রীর সঙ্গে দুটি ছবি পোস্ট করেন পঞ্চপাণ্ডবের নেতা মাশরাফি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আবার দেখা হবে, এ দেখাই শেষ দেখা নয় ইনশাল্লাহ। ’
এর আগে তামিমের অশ্রুসিক্ত বিদায়ের ঘোষণায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন মাশরাফী। কোনো চাপে তামিম অবসর নিয়েছেন কি না, সে প্রশ্নও রাখেন তিনি। বিসিবি সভাপতি নিজে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও নাগাল পাননি। তবে প্রধানমন্ত্রী মাশরাফীর মাধ্যমে তামিমের সাথে যোগাযোগ করে গণভবনে ডাকেন। এরপর জাতীয় দলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তামিম।
এর আগে গণভবন থেকে বেরিয়ে নিজের অবসর ভাঙার সিদ্ধান্ত জানিয়ে তামিম বলেন, ‘আজকে দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে তার বাসায় আমন্ত্রণ করেছিলেন। উনার সঙ্গে আমি অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে খেলায় ফিরে আসতে। তো আমি আমার রিটায়ারমেন্ট এই মুহূর্তে উঠিয়ে নিচ্ছি। ’
‘আমি সবাইকে না বলতে পারি, কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিকে না বলা অসম্ভব। সাথে মাশরাফি ভাই, পাপন ভাই ইজ বিগ বিগ ফ্যাক্টর। মাশরাফি ভাই অবশ্য আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড়মাসের জন্য ছুটিও দিয়েছেন। আমার যা চিকিৎসা আছে, আমি যেন মেন্টালি ফ্রি হতে পারি। আমার যা করার আছে। দেড় মাস পর, ইনশাল্লাহ আমি খেলবো। ’
জেএন/এমআর