অবসর ভেঙে আবারও ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা শুক্রবার জানিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। আর তার ফেরার নেপথ্যে অবদান ছিল সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। সাবেক এই অধিনায়কের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন তামিম। পরবর্তীতে মাশরাফি ওয়ানডে দলের এই অধিনায়ককে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রক্রিয়াও জানান। এবার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক।
নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মাশরাফি ওই পোস্টটি করেন। সেখানে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের উদাহরণ টেনে মাশরাফি লিখেছেন, ‘সাকিবের ডেঙ্গু হলে, তিনি হাসপাতালে গিয়ে হাজির। মুশফিকের ব্যক্তিগত কথা বলতে হবে, তিনি বললেন, ‘‘চলে আসো গণভবনে।’’ তামিম হুট করে অবসরে, তিনি ডেকে নিয়ে সমাধান করে দিলেন। এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে একজন নেতার, যিনি দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে খেলাধুলা, সবকিছুর খেয়াল রাখেন।’
এরপর সাবেক সতীর্থ ক্রিকেটারদের উদ্দেশে মাশরাফির পরামর্শ, ‘প্রিয় খেলোয়াড় ভাইরা, এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে, এসব তার দুর্বলতা নয়, বরং তার ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা থেকেই তিনি আপনাদেরকে সম্মান করেন। আপনাদেরও উচিত ভালোবাসা দিয়েই সেই সম্মানটা ফিরিয়ে দেওয়া, অর্থাৎ নিজের কাজটা ঠিকভাবে করা, পুরো মনোযোগ দিয়ে খেলা ও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।’
মাশরাফির ফেসবুক পোস্ট
টাইগার ক্রিকেটাররা সেই কাজটা ঠিকভাবে করতে পারবেন বলেই বিশ্বাস করেন মাশরাফি, ‘দেশের কোটি কোটি ক্রিকেটভক্ত আপনাদের দিকে তাকিয়ে, কারণ আপনারাই পারেন দেশ ও দেশের মানুষকে আনন্দের জোয়ারে ভাসাতে। কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধের পরও একটু আশা নিয়ে কখনও গ্যালারিতে, কখনও টেলিভিশনের সামনে বসে আপনাদের দেখতে, স্রেফ আপনাদের ভালোবেসে আর আপনাদের কাছ থেকে একটু আনন্দ পাওয়ার আশায়। আপনাদের জয় দেখে এই মানুষগুলো ভাবে, তারা নিজেরাই জিতেছে। এই আনন্দ, এই সুখ পৃথিবীর কোনো কিছুতেই আসবে না। আপনারা জিতবেন, আমরাও জিতব, এই আশাতেই আছি আমরা।’
এর আগে অবসর ভাঙা তামিমকে নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম এই ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছিলেন। তামিম তো সবকিছু থেকে দূরে ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাই আমাকে বলেছেন ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আমি তাকে বলেছি যে, ‘‘তামিমকে আমি নিয়ে আসছি আপনার কাছে।’’ এরপর তামিমকে আমি বলেছি যে, তুই গিয়ে মনের কথা বল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে কথা আছে, সেটা তিনি বলবেন। তারপর যে সিদ্ধান্ত হওয়ার, হবে। আমার দায়িত্ব ছিল ওকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাওয়া।’
পরবর্তীতে তামিম তার সিদ্ধান্ত বদলানোয় খুশিও হয়েছেন মাশরাফি। তবে তামিমকে নিয়ে তার চাওয়ার কথা জানাতেও ভুল করেননি। জাতীয় দলের জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে মাঠ ও মাঠের বাইরের বিষয় সামলানো এবং পরবর্তীতে নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই সবকিছুর জবাব দেওয়ার পরামর্শও দেন মাশরাফি।
জেএন/এমআর