বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। আর ‘সন্ত্রাসী’ দলের সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপ হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শনিবার ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডিক্যাব) টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মোমেন।
তিনি বলেন, ‘কূটনীতিকরা তাদের দেশ ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেন। কেউ এসে আমাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করুক, এগুলো আমরা মেনে নেব না।’
ভোট নিয়ে বিদেশিদের নাক গলানো গ্রহণযোগ্য না বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বলেন, আমেরিকান বলেন, যেই আছে তাদের আমরা পর্যবেক্ষণে স্বাগত জানাই। ভাল পরামর্শ থাকলে আমরা স্বাগত জানাবো। কিন্তু যারা মাতব্বরি…
‘আমাদের ভয়টা হচ্ছে ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট’। তারা কেউ কেউ হয়ত নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। সেইটা যদি করেন তাহলে দেশের অমঙ্গল ডেকে নিয়ে আসবেন।’
এদিকে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কার সাথে সংলাপ? আমেরিকাতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টি নির্বাচনের আগে সংলাপ করে? ওখানে নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করে? ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কি নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করে?
মোমেন বলেন, ‘সংলাপ কার সঙ্গে করব? সন্ত্রাসীর সঙ্গে কথা বলব না। সন্ত্রাসী দল কেউ যদি না আসে তাহলে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যারা রাজনৈতিক দল তারা সবাই নির্বাচনে আসুক।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় কোনো সংলাপ ভালো অর্জন হয়েছে কি, জানা নেই। আমাদের দেশে একটা নেতিবাচক সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে, নির্বাচনে বিদেশিদের ডেকে এনে দেখানো। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপসংস্কৃতির চর্চা বন্ধ করতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে ‘অবান্তর জিনিস’ উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘দুনিয়ার কোথাও এ ধরনের কেয়ারটেকার আছে? আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী, শাসনতন্ত্র অনুযায়ী স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন করবো।’
ডিক্যাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এমরুল কায়েস। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/পিআর