ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দুই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির অর্ধশতাধিক সদস্য ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মারা যাওয়া দুই সদস্য হলেন- হাজারীবাগ থানার কনস্টেবল রাসেল শিকদার ও গেন্ডারিয়া থানার কনস্টেবল আয়েশা আক্তার।
সোমবার (১০ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের দুই পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। গত সপ্তাহে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ডিএমপির অর্ধশতাধিক সদস্য রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে পুলিশ সদস্যদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
একদিনে রেকর্ড ৬ জনের মৃত্যু
এদিকে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা এটি। এ নিয়ে এই মৌসুমে ডেঙ্গুতে ৭৩ জনের মৃত্যু হলো।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৩৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫১৬ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২০ জন।
রোববার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিল ৮২০। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সে সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।
রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২৭৫০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৯৬৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯ হাজার ৯০ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৪ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ হাজার ১৩১ জন। ঢাকায় ৭ হাজার ৬৬ এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৬৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেএন/এমআর