২০৪ কোটি টাকা অর্থ পাচারের মামলায় সোনা চোরাকারবারি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা আবু আহম্মেদকে জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল ২০৪ কোটি টাকা অর্থ পাচারের মামলায় সোনা চোরাকারবারি আবু আহম্মেদের জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।
২০৪ কোটি টাকা অর্থ পাচারের মামলায় সোনা চোরাকারবারি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা আবু আহম্মেদকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে রুলসহ জামিন দেন।
তার আগে গত ৮ জানুয়ারি ২০৪ কোটি টাকা অর্থ পাচারের মামলায় আবু আহম্মেদকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ। শাহবাগ থানার পুলিশের হাতে তাকে হস্তান্তর করা হয়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ২০৪ কোটি টাকা অর্থ পাচারের মামলায় আবু আহম্মেদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। তবে আগের দিন ৫ ডিসেম্বর আবু আহম্মেদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
সোনা চোরাকারবারির মামলায় দায়রা জজ আদালত আবু আহম্মেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। কিন্তু জামিন আবেদনে এই তথ্যটি গোপন করা হয়। জামিন আবেদনে তথ্য গোপন করায় আদালত আবু আহম্মেদের আইনজীবী ফারিয়া আলমকেও সতর্ক করেন।
২০৪ কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবু আহম্মেদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ কোতয়ালি থানায় মামলা করে সিআইডি। সেই মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত ব্যাংক হিসাব বিবরণী, কাগজপত্র পর্যালোচনা, লেনদেনের ধরন এবং আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব নম্বরে ১২ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালান, চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা ও হুন্ডির মাধ্যমে ২০৪ কোটি টাকার পাচারের অর্থ দিয়ে গাড়ি, বাড়ি, মার্কেটসহ বিভিন্ন সম্পত্তি অর্জন করেছেন।
জেএন/এমআর