হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অ্যানড্রয়েড ফোন নিয়ে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অ্যাকাডেমিক কমিটির বৈঠকে সম্প্রতি অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইলিয়াছের সই করা এই বিজ্ঞপ্তিটি ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে কলেজের ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
তারা বলছেন, শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলাকালীন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার নির্দেশনার পাশাপাশি চুরি ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া যায়, কিন্তু সেটি না করে স্মার্টফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি বাড়াবাড়ি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কলেজে অধ্যয়নরত বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অবগত করা যাচ্ছে যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে, চট্টগ্রামের নির্দেশনা মোতাবেক কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে আসা সম্পূর্ণ নিষেধ। ’ এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, মোবাইল ফোন আসক্তিতে পড়ালেখার ক্ষতির পাশাপাশি খারাপ কিছু দেখে বিপথগামী হওয়ার প্রবণতা তো আছেই। আবার পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই হলের বাইরে ব্যাগে ফোনটি রেখে প্রবেশ করে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে-প্রায় সময়ই তাদের ফোন চুরি হয়ে যাচ্ছে। বারবার ফোন হারানোর বিষয়ে আমাদের কাছে বিচার-অভিযোগ আসছে। সেজন্য আমরা অ্যানড্রয়েড ফোন নিষিদ্ধ করেছি। তবে বাটন ফোন নিয়ে আসতে কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, কলেজে শৃঙ্খলা কমিটি আছে। তারা শিক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো শিক্ষার্থীর কাছে স্মার্টফোন পাওয়া যায় তবে তারা ব্যবস্থা নেবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কলেজ পর্যায়ে যারা পড়ছে-সবাই প্রাপ্তবয়স্ক। তারা তাদের ভালো-মন্দ বোঝে। স্মার্টফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা কলেজ কর্তৃপক্ষের বাড়াবাড়ি। স্মার্টফোনের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে অনেক জটিল বিষয়ে সমাধান পেয়ে থাকি। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ।
২০১৮ সালের ১ অক্টোবরও কলেজ ক্যাম্পাসে স্মার্টফোন ব্যবহার ও বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তখন শুধু একাদশ ও দ্বাদশ শ্রণির শিক্ষার্থীদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা ছিল। যদিও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।
জেএন/এমআর