বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে রুপির ব্যবহার শুরু হলো। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে বাণিজ্যে রুপির ব্যবহার শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ‘শেষ ১০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এই সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে রুপিতে লেনদেন শুরু হওয়ার মাধ্যমে বানিজ্য আরও বাড়বে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুল রউফ তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতে ২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে। তবে রুপির মাধ্যমে বাণিজ্য শুরু হয়ায় তা অনেকগুণ বেড়ে যাবে বলে আমি আশা করছি।’
প্রথমে ভারতীয় মুদ্রায় লেনদেন শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে এ সুবিধা মিলবে টাকাতেও। এতে বৈদেশিক মুদ্রায় চাপ কমবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক। এমন উদ্যোগের সুফল নিয়ে ব্যবসায়ী এবং বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। বলা হচ্ছে, রুপি আন্তর্জাতিক মুদ্রা নয়, এর ফলে ভারতীয় মুদ্রার চাহিদা বাড়বে, শক্তিশালী হবে রুপি।
রুপিতে যেভাবে লেনদেন
রুপিতে লেনদেন করতে ভারতের ব্যাংকের সঙ্গে নস্ট্রো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করবে বাংলাদেশের ব্যাংক। যেসব পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়, সেসব বিল নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে জমা থাকবে। পণ্য আমদানির পর ওই অ্যাকাউন্টে যে রুপি জমা থাকবে, সেখান থেকে রুপির মাধ্যমে আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা হবে।
দুই দেশের চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই লেনদেন চালু হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই।
প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের সোনালী, ইস্টার্ন ও ভারতের স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে রুপিতে লেনদেন করতে পারবেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ভারত অংশে এ-সম্পর্কিত বিষয়ের দায়িত্বে থাকবে দেশটির আইসিআইসি ব্যাংক ও স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। রুপিতে লেনদেনের চাহিদা বাড়লে পর্যায়ক্রমে অন্য ব্যাংককেও অনুমতি দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোকে ঋণপত্র নিষ্পত্তির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তারা কাজও শুরু করেছে।
জেএন/পিআর