কক্সবাজারের টেকনাফে নাইট্যংপাড়া বরফ কল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং একটি কাঠের নৌকা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার(১১ জুলাই) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ টেকনাফ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৭ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ দক্ষিণ দিকে পৌরসভার নাইট্যংপাড়া বরফ কল এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং টেকনাফ বিওপি থেকে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
কিছুক্ষণ পর টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূণ্য লাইন থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাইট্যংপাড়া বরফ কল এলাকার দিকে আসতে দেখে।
টহলদল নৌকাটিকে দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় আরোহিত ব্যক্তিরা নৌকা থেকে লাফিয়ে সাঁতার দিয়ে দ্রুত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে একটি কাঠের নৌকার ভিতর থেকে কালো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১টি পোটলা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করা হয়। এছাড়াও অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে বর্ণিত নৌকাটিও জব্দ করা হয়।
এরপর টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন কাঠের নৌকাটি টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করা হয়। ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তীতে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
জেএন/পিআর