আগেও অনেকবার মায়ামিতে এসেছেন লিওনেল মেসি। এমনকি এই শহরে বাড়িও রয়েছে তার। তবে এবার অন্যরকম রূপে। এই যাত্রায় স্রেফ অতিথি হয়ে না, আপন করে নিতেই এই শহরে এসেছেন আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা।
এই শহরের ক্লাবই মেসির নতুন ঠিকানা। আবারও মাঠ মাতাবেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। তবে এবার নতুন জার্সিতে, নতুন এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে।
আগামী রোববার মেসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেবে ইন্টার মায়ামি। যদিও মেসির সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছুই জানায়নি ক্লাবটি।
ধারণা করা হচ্ছে, ইন্টার মায়ামির সঙ্গে আড়াই বছরের চুক্তি করবেন মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে আগামী ২১ জুলাই লিগ কাপে ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে অভিষেক হতে পারে মেসির। এই কারণেই মায়ামির লডারডেলে পরিবারসহ পৌঁছে গেছেন মেসি।
মেসি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিতে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকেই অন্যরকম উন্মাদনা যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে। শতাব্দীর সেরা এই ফুটবলারকে বরণ করে নিতে মায়ামিজুড়ে এখন সাজ সাজ রব।
আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরকে বরণের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করে ফেলেছে মেজর লিগ কর্তৃপক্ষ। মেসিকে বরণে কাজে পিছিয়ে নেই, মায়ামির স্বত্বাধিকারী খোদ ডেভিড বেকহ্যামও।
পিএসজি ছেড়ে মায়ামিতে যাওয়া মেসিকে বরণ করে নেওয়ার অংশ হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষরের ভেন্যুতে বিশাল এক ম্যুরাল আঁকা হচ্ছে। আর সেই ম্যুরাল আঁকায় হাত লাগাতে দেখা গেছে, ক্লাবটির যৌথ মালিক বেকহ্যামকে।
বেকহ্যামের স্ত্রী ভিক্টোরিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা গেছে, সাবেক ইংলিশ ফরোয়ার্ড ম্যুরালে আঁকা মেসির দাঁত সাদা করছেন।
ভিক্টোরিয়া ওই ভিডিওতে জানান, আমার মনে হয়; ডেভিড মায়ামিতে মেসির ছবি আঁকতে সত্যিই ভালো কাজ করছে। দেখুন, এটা বিশাল। ডেভিড বেকহ্যাম কিছুই করতে পারে না! সে ওখানে ছবি আঁকছে। আমি সত্যিই মুগ্ধ।
এদিকে আর্জেন্টিনার এক টিভি অনুষ্ঠানে মেসির ভাষ্য, আমার মানসিকতা পরিবর্তন হবে না, যেখানেই যাই না কেন নিজের জন্য ও দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব, সর্বোচ্চ স্তরে পারফর্ম করার চেষ্টা করব।
জেএন/পিআর