প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের গুলশানের বাসায় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
নৈশভোজে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব কমেছে। কূটনীতিকদের এত আসা যাওয়া এটাই প্রমাণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া র্যাবের প্রসংশা করেছেন। নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার যেন আরও জোরালো হয় সেজন্য সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়েছেন। বলেছেন কোনো দলের পক্ষে নন তারা। গতকাল দু’দলের কর্মসূচি পালনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। ভবিষ্যতে এটি অনুকরণ করতে বলেছেন। ভিসানীতিও কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে তারা করেননি বলে জানিয়েছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি।
তিনি আরও বলেন, বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো দেখেছেন তারা। নির্বাচন নিয়ে তাদের বক্তব্য তারা কোনো দলকে সমর্থন করে না। তারা চায় নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। দুই দেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর বিষয়েও আলাপ আলোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, উজরা জেয়া এবং ডোনাল্ড লু’র এটি একটি রুটিন সফর। শুধু নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আসেননি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এখনো বিএনপি গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা শুধু মাত্র নির্বাচন নিয়ে কাজ করতে আসেনি, এটা তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ সফর। বিএনপি-জামায়াত যেন নির্বাচনে শান্তি বিঘ্নিত না করতে পারে, সেজন্য সরকার সজাগ আছে।
তিনি বলেন, তারা আরও বিনিয়োগের কথা বলেছেন। দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জেএন/পিআর