দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধারকারীরা বন্যায় প্লাবিত টানেলে আটকে পড়া গাড়ির কাছে পৌঁছাতে কাজ করছে। ইতিমধ্যে অন্তত ৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে তারা। আজ সকালে এই মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
মুষলধারে বৃষ্টির কারণে দেশটির বেশিরভাগ অংশে বন্যা, ভূমিধস এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এই ঘটনায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে এবং ১০ নিখোঁজ রয়েছেন। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, সর্বশেষ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৬৮৬ মিটার দীর্ঘ টানেলে কতজন লোক এখনও আটকা পড়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ১৫টি যানবাহন ডুবে গেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, খুব দ্রুত একটি আকস্মিক বন্যায় চেওংজু শহরের ওসোং শহরতলিতে থাকা টানেলটি ভেসে গিয়েছিল। যার কারণে চালক ও সেখান থেকে বের হতে পারেননি।
শনিবার দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে প্রায় ৩০০ মিমি (১১.৮ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। কোরিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, দেশটিতে সাধারণত বছরে ১০০০ মিমি (৩৯.৪ ইঞ্চি) থেকে ১৮০০ মিমি (৭০.৯ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়।
ভারী বর্ষণের কারণে ভয়াবহ অবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার। অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় বেশিরভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে পার্বত্য উত্তর গিয়ংসাং অঞ্চলে। সেখানে ভূমিধসে অনেক ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সেনাবাহিনীকে উদ্ধার অভিযানে সাহায্য করতে বলেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার ভোরে, উত্তর চুংচেং-এর গোয়েসান বাঁধ দিয়ে পানি উপচে পড়া শুরু হওয়ার পর ৬ হাজার ৪০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
বাঁধের কাছাকাছি কয়েকটি নিচু গ্রাম এবং তাদের সঙ্গে সংযোগকারী অনেক রাস্তা ডুবে গেছে। এতে কিছু বাসিন্দা তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছে। সূত্র : বিবিসি