বিআরটিএ সার্ভার সচল করে ডকুমেন্টের হাল নাগাদ নবায়নসহ ৪ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৃহত্তম চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশন।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্যে দাবিগুলো পেশ করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব মন্জুরুল আলম চৌধুরী।
অন্যান্য দাবিগুলো হলো, গাড়ীর আয়ুস্কাল এর নীতিমালা প্রণয়নে বিভাগীয় পর্যায় থেকে মালিক প্রতিনিধির ড্যাপ নীতিতে সম্পৃক্ত করা।
২০২৪-২০২৫ আর্থিক সাল থেকে ফ্ল্যাপ নীতি পূণঃ সংশোধন করে কার্যকর করা এবং বিআরটিএ কর্তৃক রেজিট্রেশন তারিখ থেকে মেয়াদ নির্ধারণ করা।
সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তম চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক আলহাজ্ব জহুর আহাম্মদসহ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা-উপজেলার পরিবহন শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে পরিবহন নেতারা বলেন, সরকার কর্তৃক সদ্য জারীকৃত যানবাহনের ইকোনমিক লাইফ প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন করিলে দেশে প্রায় ৬৫ হাজার বাস মিনিবাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান বন্ধ হয়ে যাবে।
তাছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় লক্ষ লক্ষ মালিক শ্রমিক অর্ধাহারে অনাহারে খুবই কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করবে।
অন্যদিকে গাড়ীগুলো স্ক্র্যাপ ঘোষনা করলে সাধারণ মালিকের যেমন হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হবে তেমনি উল্লেখিত গাড়ীগুলোর অনুকূলে সরকার গাড়ী আমদানী করলে হাজার হাজার কোটি টাকার মুদ্রা অপচয় হবে। তাই এ ধরনের বিনিয়োগ কোন ভাবে কাম্যহতে পারে না।
পরিবহন শ্রমিক নেতারা দাবি করেন, সরকারের আমদানী নীতি অনুযায়ী গাড়ীর যন্ত্রাংশ আমদানী হয় বিধায় কোন যানবাহনই অচল থাকে না বরং ক্ষতিগ্রস্থ ইঞ্জিন বা ইঞ্জিনের পার্টস, বডি বা আনুসাঙ্গিক অন্যান্য পার্টস নতুন করে রিপ্লেসমেন্ট করলে সকল যানবাহনই সম্পূর্ণ রুপে বিআরটিএ এর ফিটনেস সার্টিফিকেট অনুযায়ী চলাচলের যোগ্যতা রাখে।
উপরোন্ত একসাথে গণ ও পণ্য পরিবহনে চালিত যানবাহন বাতিল করা হলে দেশে একপ্রকার গাড়ীর সংকট হবে। তাছাড়া বর্তমান যে অর্থনৈতিক মন্দাভাব বিরাজ করছে তাতে এ ধরনের আইন প্রয়োগ করে সরকারের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান বলে মনে করেন পরিবহন নেতারা।
দাবি আদায় না হলে প্রধানমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসুচি নেবে সংগঠন।
জেএন/পিআর