বিশ্বজুড়ে চালের মোট সরবরাহের অর্ধেকের বেশি রপ্তানিকারক করে ভারত। গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) চালের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
এতে এশিয়াব্যাপী ভোগ্যপণ্যটির ব্যবসা-বাণিজ্য নিশ্চল হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশিষ্ট তিন ব্যবসায়ী বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে চালের দাম আরও বাড়বে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মোট চাল রপ্তানির ৪০ শতাংশই করে ভারত। এল নিনো আবহাওয়ার প্রভাবে চলতি বছর দেশটিতে ধান উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
ফলে চালের দাম বেড়ে বিগত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে। মূলত তাতে লাগাম টানতে এবং অভ্যন্তরে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং কোম্পানির সিঙ্গাপুরভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, রপ্তানি বাজারে চালের মূল্য আরও বাড়তে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, প্রতি মেট্রিক টনের দাম কমপক্ষে ৫০ ডলার বাড়তে পারে। আর সর্বোচ্চ ১০০ ডলারও বৃদ্ধি পেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এ মুহূর্তে বিক্রেতাদের পাশাপাশি ক্রেতারাও বাজারের চালের দর কতটা বাড়ে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।
অপর দুই ব্যবসায়ী-একজন হলেন সিঙ্গাপুরের এবং আরেকজন ব্যাংককের। তারাও বলছেন, চালের দাম সেরকমই বাড়বে। তবে নিজেদের নাম প্রকাশ করেননি কোনো ব্যবসায়ী। কারণ, গণমাধ্যমে এ বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার তাদের নেই।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক দ্বিতীয় ব্যবসায়ী বলেন, এদিন কোনো চাল কেনাবেচা হয়েছে বলে শুনিনি। তবে কিনতে গেলে প্রতি কার্গোতে বাড়তি অর্থ গুনতে হবে ক্রেতাদের। কারণ, বাজার থেকে ব্যাপক পরিমাণ খাদ্যপণ্যটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত।
বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। ইতোমধ্যে মেট্রিক টনপ্রতি ভোগ্যপণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ ডলারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিগগিরই তা ৬০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
জেএন/পিআর