রাজধানীর শাহজাহানপুরের যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিসহ ঘটনায় সরাসরি জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার (২২ জুলাই) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
রোববার (২৩ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তাতে জানানো হয়, আলোচিত এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। আজ সকাল ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারদের ব্যাপারে ও হত্যার নেপথ্যের কারণ জানাবেন ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
অন্যদিকে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটকের দাবি জানিয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়লন (র্যাব)।
শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা (পূর্ব) এলাকা থেকে তাদের আটক করে র্যাব-৩ এর একটি দল। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।
তিনি জানান, আজ রোববার (২৩ জুলাই) সকালে কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে খুন হন রুবেল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ১২টা ৫০ মিনিটের পর রুবেলের ওপর হামলা করে কয়েকজন। ৫২ সেকেন্ডের ওই ফুটেজে রুবেলকে দৌড়াতে দেখা যায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে দুই যুবক তাকে ধাওয়া করছিলেন। তারা দৌড়াতে দৌড়াতে রুবেলকে কোপ দিলে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। এরপর তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন এক যুবক। পরে আরও এক যুবককে দৌড়ে আসতে দেখা যায়। এরপর রুবেল রক্তাক্ত শরীর নিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। একটু সামনে গিয়ে তিনি পড়ে যান এবং আবার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন।
নিহত রুবেল শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক এবং এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিমের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে জোয়ারদার লেনের ১৫৩/এ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি। তার বাবার নাম শেখ নবী উল্লাহ খোকন। শান্তিবাগে তাদের নিজেদের বাড়ি রয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে রুবেলের স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জেএন/এমআর