চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের উপনির্বাচনের কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শেষ করে গণনা সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) রাতে নগরীরর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম জিমনেসিয়াম থেকে মোট ১৫৬ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
এতে আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু নৌকা প্রতীকে ৫২ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৫৭২ ভোট।
আর তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত সোনালি আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২৩০ ভোট। এ ছাড়া বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া ছড়ি প্রতীকে ৫৭৯, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী বেলুন প্রতীকে ৪৮০ ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া রকেট প্রতীকে ৩৬৯ ভোট পেয়েছেন।
ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
কোনো ধরনের লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। সফলতার সহিত ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শেষ করে গণনা করা হয়। এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম থেকে ফলাফলে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এর আগে রোববার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। ১৫৬ কেন্দ্রের ১ হাজার ৫৬৩টি সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুম থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান ও রাশেদা সুলতানা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। এ আসনে চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার। এর মধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ জন নারী।
নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্ব পালনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ আসনে গত তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলেন ডা. আফছারুল আমীন। গত ২ জুন তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
জেএন/পিআর