তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পর পর পাঁচবার কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরও তাদের লজ্জা নেই। এবারও কানাডার আদালত বলেছে, বিএনপি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাচ্ছে। তারা গাড়ি পোড়াচ্ছে, ভাঙচুর করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। সে কারণে তাদের দলের কাউকেই রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে না।’
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর নগরীর আর কে রোড এলাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপকেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী গয়েশ্বর রায়কে খাবার দেওয়া আর আমান উল্লাহ আমানকে প্রধানমন্ত্রীর ফলমুল পাঠানোকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এই শিষ্টাচার মেনে চলেন। এখন তারা অন্য কথা বললেও দেশের জনগণ তাদের কথা বিশ্বাস করে না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেত্রী মতিয়া চৌধুরী ও মো. নাসিমকে কীভাবে রাস্তায় ফেলে লাঠিপেটা করেছে সেটাও দেশের মানুষ দেখেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার রংপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন তাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে আনন্দ উচ্ছাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জিলা স্কুল মাঠে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও এই সমাবেশ রংপুর নগরীর ১০ কিলোমিটারব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। এটা জনসমুদ্রে রুপ নেবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মহাসমাবেশ বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রংপুর টেলিভিশন উপকেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রে পরিণত করার সব কাজ শেষ হয়েছে। একনেক সভাতেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আশা করেছিলাম নির্বাচনের আগে কাজ শুরু হবে কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র হবেই।’
এ সময় আওয়ামী লীগের নেতারাসহ বাংলাদেশ টেলিভিশন উপকেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর