সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে কমেছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। জুলাই মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধপথে ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা আগের মাস জুনের চেয়ে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ ও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ কম।
খাত সংশ্লিষ্ট ও বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জুন মাসে ঈদ ছিল। ওই সময়ে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। আবার ডলারের চাহিদা মেটাতে কিছু ব্যাংক ঘোষণা করা দামের চেয়ে বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনে। ফলে জুন মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, জুলাই মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। আগের বছরের জুলাই মাসে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। জুনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ফলে আগের মাস জুনের চেয়ে ২২ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বা ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ ও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ কোটি ৩১ লাখ বা ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমেছে সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বরাবরের মতো ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আলোচিত সময় ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ৬৭ কোটি ২৬ ডলার। এরপর অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ৩৩ লাখ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ২০ লাখ, ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৫৭ লাখ এবং আল-আরাফা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ১২ লাখ ডলার প্রবাসী আয়।
বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
ডলার সংকট ও বাজার স্থিতিশীলতার জন্য রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে ব্যাংকগুলো। এখন প্রবাসী আয়ে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা দাম দিচ্ছে। রপ্তানি বিল নগদায়নে প্রতি ডলারের বিপরীতে দাম দিচ্ছে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা এবং আমদানি ও আন্তঃব্যাংক লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
জেএন/এমআর