মালিক-শ্রমিকের যৌথ স্বার্থ উদ্ধারের মাধ্যমে পোশাকশিল্পের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি অর্জনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে পেনিনসুলা হোটেলে এমিনেন্স এসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র নাছির বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়ন অন্যতম একটি সূচক। এই সূচক অর্জন করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এজন্য মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক সৃষ্টি করা প্রয়োজন। শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে হবে। মালিকদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। তাহলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তৈরি পোশাকশিল্পের সুনাম বাড়বে এবং বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, এমিনেন্স ও গেইন পোশাকশিল্প কারখানায় পুষ্টিহীনতা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করছে। পুষ্টিকর খাবার ও আয়রন ফলিক ট্যাবলেটের মাধ্যমে নারী শ্রমিকদের রক্তশূন্যতা কমে আসবে। এতে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গেইন’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুবাবা খন্দকার, এমিনেন্স এর প্রধান নির্বাহী ড. শামীম হায়দার তালুকদার, গেইন’র পোর্ট ফোলিও প্রধান মনিরুজ্জামান বিপুল, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেজর মুর্তজা করিম প্রমুখ।
এদিকে, পোশাকশিল্পের কর্মীদের পুষ্টি উন্নয়নে চট্টগ্রামের ১৫টি পোশাকশিল্প কারখানায় ‘স্বপ্ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আইএলও, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও সহযোগী সংস্থাগুলো।