কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের কয়েকটি স্থানে বৈরী আবহাওয়া ও সাগরের জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে দৃষ্টিনন্দন এই সড়কে ভাঙন ধরেছে। ছোট-বড় ১০টি স্থানে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দ্রুত মেরামত করা না হলে ব্যাপক ভাঙনে এই সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে সড়কটিতে ভাঙন দেখা দেয় বলে জানান সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ সেলিম।
কক্সবাজার থেকে সাবরাং জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কটি দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি বিশেষ ইউনিট। যে-সব স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেখানে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে মেরামত কাজ শুরু করেছেন ওই ইউনিটের সদস্যরা।
ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সেলিম জানান, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাট থেকে হাদুরছড়া বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন শ্মশান পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটারে ৮ থেকে ১০টি স্থানে সড়ক ও পাশের ঝাউবাগানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে সড়কের কিছু অংশ সাগরে বিলীন হয়ে যায় ও কিছু ঝাউগাছও পড়ে গেছে। ভাঙন দ্রুত ঠেকানো না গেলে টেকনাফের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের পূর্ব পাশে প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি জমি কিনেছেন। তাঁদের কেনা জমি ভরাট করতে সড়কের পাশের সমুদ্রসৈকত থেকে অবাধে বালু তুলছেন। এতে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ ছাড়া সড়ক রক্ষায় স্থাপন করা জিওব্যাগ গুলো ফেটে যেতে শুরু করায় ঝুঁকি বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতেও সড়কটির একাধিক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছিল।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো কামরুজ্জামান বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেছে। এতে মেরিন ড্রাইভের সাবরাং বাহারছড়া ঘাট মুন্ডার ডেইল, হাদুরছড়া ও পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকার বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ করছে।
জেএন/এমআর