একদিকে উঠে গেছে সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে বৃষ্টি ও নদীতে পানির স্রোত বৃদ্ধি হওয়ার কারণে জেলেদের জালে ধরা পড়তে শুরু করছে ইলিশ। ফলে ইলিশের আমদানিও বাড়তে শুরু করেছে।
চট্টগ্রামের বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারীঘাটে ইলিশের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত শতশত মণ ইলিশ মাছ আমদানি হয়েছে এ ঘাটে।
সকালে মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশ বেচাকেনায় সরগরম হয়ে উঠেছে আড়ৎগুলো। পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা ক্রেতা ও শ্রমিকরা সেখানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাঁদপুর, নোয়াখালি, হাতিয়া ও ভোলা অঞ্চল থেকে ট্রলার ও সড়ক পথে ট্রাকে করে ইলিশ আসছে ঘাটে।
বেশ কিছু সময় ঘাটে অবস্থান করে দেখা গেছে, মাছঘাট সংলগ্ন কর্ণফুলী নদী দিয়ে আসা ট্রলারগুলো থেকে শ্রমিকরা আড়তে ইলিশ এনে স্তূপ করছে। এরপর হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। আবার কিছু ইলিশ রপ্তানি করার জন্য বাক্স ভর্তি করছেন শ্রমিকরা। আবার খুচরা কেনার জন্য স্থানীয় ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।
ফিশারিঘাটের আড়তদার উত্তম দাশের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আজকের বাজারে ২৫০ গ্রামের ইলিশ প্রতি মণ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৯-২০ হাজার টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৯-৩০ হাজার টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪৯-৫০ হাজার টাকা। আর দেড় কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১৭০০ থেকে ২২০০ টাকা। তবে আড়তে বড় সাইজের ইলিশের সংখ্যা কম।
নদীতে পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টি হওয়ার কারণে জেলেরা আগের চাইতে ইলিশ কিছুটা বেশি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মৎস্য সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা। তারা আশা কছেন নদীতে পানি ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে।
জেএন/পিআর