দেশের ক্রীড়াঙ্গণের আজকের যে অবস্থা তার ভিত রচনা করেন শেখ কামাল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বেঁচে থাকলে ক্রীড়াঙ্গন আরও এগিয়ে যেতো বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ও জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন শুরুতেই ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান রাখায় মোট আটটি ক্যাটাগরিতে দশ জন ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই চালু করা হয় বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া বৃত্তি।
শেখ হাসিনা বলেন, শেখ কামাল ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরও অবদান রাখার আগেই তাকে ঝরে যেতে হয়েছে পৃথিবী থেকে। রাষ্ট্র প্রধানের পুত্র হয়েও শেখ কামাল খুবই সাধারণ চলাচলে বিশ্বাসী ছিলেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল প্রবল, তবে কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল না বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন শেখ কামালের বিয়ে হয়, তখন তার ছোট্ট একটি আপত্তি ছিল। তার কথা ছিল— আমি তো এখনো স্টুডেন্ট; কীভাবে বিয়ে করব? টাকা পাব কোথায়? ওই সময় আমার একটা গাড়ি ছিল। ওই গাড়িটা বিক্রি করেছিলাম। কিছু টাকা ওর নামে একটি অ্যাকাউন্ট করে দিয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম— ঠিক আছে বিয়ের পর তোমাকে কারও কাছে হাত পাততে হবে না। অ্যাকাউন্টে যে টাকা থাকবে, সে টাকা খরচ করবা।
তিনি বলেন, শেখ কামালের তেমন কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করত। খেলায় তার খুব মনোযোগ ছিল। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ইত্যাদির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার আবাহনী ক্লাবের জন্য অ্যাডিডাস জুতা কিনে চেয়েছিল ও (শেখ কামাল)। আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি কাগজে লিখে দাও। কারণ আমি তো অত কিছু চিনি না। পরে কাগজে লিখে দিয়েছিল। আজও কাগজে শেখ কামালের অ্যাডিডাস লেখা আমার চোখের সামনে ভাসে।
জেএন/এমআর