চীন থেকে ডাইড পপলিন ফেব্রিকস আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল সুফি অ্যাপারেলস। কিন্তু তারা আনে পর্দার কাপড়।
বন্ড সুবিধা অনুযায়ী, যে পরিমাণ ডাইড পপলিন ফেব্রিকস আমদানির কথা ছিল তাতে শুল্ক কর দিতে হতো তিন হাজার ২৫৩ টাকা। অন্যদিকে যে পরিমাণ পর্দার কাপড় আনা হয়েছে তার কাস্টমস শুল্ক কর ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
কিন্তু খালাসের আগে কায়িক পরীক্ষায় কাস্টমসের এআইআর (অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ) শাখার হাতে চালানটির গরমিল ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান জয়নিউজকে বলেন, সুফি অ্যাপারেলস চীন থেকে ডাইড পপলিন ফেব্রিকস আনার ঘোষণা দেয়। কিন্তু কায়িক পরীক্ষা করতে গিয়ে কনটেইনারের ভিতর মেলে পর্দার কাপড়। প্রতিষ্ঠানটি যে পরিমাণ ডাইড পপলিন ফেব্রিকস আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল তার কাস্টমস শুল্ক কর ৩ হাজার ২৫৩ টাকা। বিপরীতে তথ্য গোপন করে আনা কাপড়ের কর ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শাহীনূর কবির পাভেল জয়নিউজকে বলেন, কাস্টমস কমিশনারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এআইআর শাখা বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাতে সুফি অ্যাপারেলসের পণ্যের খালাস স্থগিত করে। কায়িক পরীক্ষা করে দেখা যায়, ডাইড পপলিন ফেব্রিকস ঘোষণা দিয়ে তারা পর্দার কাপড় এনেছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট লাকি স্টার এজেন্সি। সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষা শেষে ঘোষণা বহির্ভূত অতিরিক্ত পণ্য পাওয়া যায়। পণ্যগুলোর শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। যার শুল্ক কর ৯৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। চালানের বি/ই নং ১৫৩১৩৬৯। ২২ অক্টোবর চালানটি খালাসের আবেদন জানিয়েছিল তারা। আবেদনের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজ শুরু করে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আনার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ১৫ নভেম্বর চালানটি আটক দেখানো হয়।
জয়নিউজ/ফয়সাল/জুলফিকার