মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। আজ সোমবার (৭ আগস্ট) বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের প্রতি হালির দর চলছে ৬০ টাকা, যা রীতিমতো রেকর্ড।
ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকায়। এছাড়া সাদা ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা ও হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা যায়।
দেশে এর আগে কখনো এত দামে মানুষকে ডিম কিনতে হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে ক্রেতারা। জামালখান থেকে কাজির দেউরি বাজারে আসা ক্রেতা রোকন উদ্দিন জানান, এলাকার মুদি দোকানে ডিমের দাম বেশি। ভেবেছিলাম কাজির বাজারে কিছুটা কমে পাব। তাই এখানে বাজার করতে আসি।
অন্য জিনিস কিছুটা কমে পেলেও ডিমের দাম একই। এই প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ক্ষতি।
ডিমের দাম বাড়ায় বেশি বিপাকে পড়েছেন মেসে থাকা বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নিলা চাকমা নামে এক ক্রেতা বলেন, “আমরা যারা হোস্টেল বা মেসে থাকি। তারা খাবারের খরচটা কমের মধ্যে রাখার চেষ্টা করি।
মাছ মাংসের দাম যেহেতু বেশি, তাই বেশিরভাগ সময়েই আমাদের খাবারে ডিম থাকে। কিন্তু এখন ডিমের দামও বেশি। শুধু সবজি খেয়ে তো শরীর ঠিক রাখা যায় না।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ডিমের দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে স্বল্প আয়ের মানুষ। স্বল্প আয়ের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে বড় ভরসার জায়গা ডিম। কিন্তু এখন তা-ও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে রেয়াজউদ্দিন বাজারের ডিম বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, “ডিমের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বাড়তি। তবুও মানুষ ডিমের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল।
ফলে চাহিদা বেশি। কিন্তু সেই অনুযায়ী বাজারে ডিম সরবরাহ নেই। তাই দাম বেড়েছে।
খামারিরা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমে লোডশেডিংয়ে খামারে অনেক মুরগি মারা গেছে। ফলে ডিম উৎপাদনে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে, যার কারণে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ডিমের সরবরাহ নেই।
খামারিরা বলেছেন, আগামী অক্টোবরের আগে এই ঘাটতি পূরণ হবে না। এ ছাড়া পোল্ট্রি ফিডসহ এই খাতে সংশ্লিষ্ট প্রায় সবকিছুর দাম বাড়ায় ডিমের দামে এর প্রভাব পড়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। সে সময়ও প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
জেএন/পিআর