চট্টগ্রামের ভূজপুরের দাঁতমারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিম ১৬ বছর বয়সের সনাতন ধর্মাবলম্বী কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭।
গতকাল রবিবার (৬ আগষ্ট) রাতে পরিচালিত অভিযানে মূল অপরণকারী মোহাম্মদ টিটু’কে তার দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- হাটহাজারী থানার হাইদচকিয়া এলাকার আহমুদুল হকের ছেলে মূল অপহরণকারী মোহাম্মদ টিটু (৩০), ফটিকছড়ি থানার হাইদচকিয়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন রুমেন (২৩) ও ভুজপুর থানার বারমাসিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে রুবি বেগম (৩৮)।
র্যাব জানায়, অপহৃত ভিকটিম ১৬ বছর বয়সের সনাতন ধর্মাবলম্বী কিশোরী। সে চলতি বছরের স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৩.৬৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
অপহৃত ভিকটিমের সাথে বখাটে মোহাম্মদ টিটু (৩০) এর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর পরিবার টিটুর পরিবারকে অবগত করেন। এতে টিটু ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে তার এক সহযোগীসহ ওই কিশোরীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ৩ আগষ্ট ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে বখাটে টিটুর নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া তিনি র্যাবের কাছেও একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত বাড়ায়। এক পর্যায়ে র্যাব জানতে পারে অপহরণকারীদের অবস্থান। পরে অভিযান পরিচালনা করে তিন অপরহরণকারীকে গ্রেফতার এবং অপহৃত ভিকটিম কিশোরী মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আজ সোমবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টিুট জানায়, গ্রেফতার আমজাদ হোসেন অপহরণের জন্য গাড়ি সরবরাহ করেছিল এবং গ্রেফতার রুবি বেগম তার বাড়িতে তাকে আশ্রয় দিয়েছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে জানায় র্যাবের এ কর্মকর্তা।
জেএন/পিআর