চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় মো. হোসেন নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মামলাটিতে পৃথক চুরির ধারায় একই আসামি হোসেনকে ৩ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগন সিরাজাম মুনীরার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় মামলার একমাত্র আসামি মো. হোসেন পলাতক ছিলেন।
আসামি হোসেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং ভুক্তভোগী মাকসুদুর রহমান একই উপজেলার সন্তোষপুর শফিক মাস্টারের বাড়ির বদিউল আলমের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ভুক্তভোগী মাকসুদ জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রাম শহরে আসেন। তিনি দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করতেন এবং নগরের হালিশহর থানার বি-ব্লক এলাকায় একটি ব্যাচেলর বাসায় থাকতেন। একই বাসায় থাকতেন আসামি হোসেনও। ২০১৭ সালের ১২ মার্চ দিবাগত রাতে আসামি হোসেন ভুক্তভোগী মাকসুদের মোবাইল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় হাতাহাতির একপর্যায়ে মাকসুদকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান হোসেন। ঘটনার পর ভুক্তভোগী মাকসুদকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরদিন ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত মাকসুদের ভাই মো. রিপন বাদী হয়ে হালিশহর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল আসামি হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এরপর হোসেন আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন হালিশহর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দীর্ঘতম বড়ুয়া দিঘু বলেন, মামলাটিতে ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর একমাত্র আসামি হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। বিচারিক পর্যায়ে আসামির বিরুদ্ধে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপর আজ (বুধবার) রায় ঘোষণা করা হয়। আসামি এর আগেই জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে।
জেএন/এমআর