ভারতের রাজস্থানে ১০ বছর আগে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে চুরি গিয়েছিল তিনটি মহিষ। চুরি যাওয়ার বেশ কিছু দিন পর সেই মহিষ উদ্ধার করে মালিকের হাতে তুলে দিয়েছিল পুলিশ।
কয়েক বছর পর একটি মোষের মৃত্যুও হয়। কিন্তু চুরি যাওয়া সেই মহিষ আদৌ ওই ব্যক্তির কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ফলে নতুন করে আবার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
মামলাটি আদালতে পৌঁছলে সেই মহিষগুলিকে চিহ্নিতকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর সেই নির্দেশ পেয়েই দু’টি মহিষকে নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন মালিক। সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল স্থানীয় এক ব্যক্তিকেও। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি।
চরণ সিংহ শেখাওয়াত। রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা। বছর দশেক আগে হার্মাদা থানায় মহিষ চুরির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ পাশেরই থানা এলাকা ভরতপুর থেকে ওই মহিষগুলিকে উদ্ধার করে। তার পর চরণ সিংহের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু মহিষগুলি আদৌ চরণ সিংহের কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
সরকারি আইনজীবী আদালতের কাছে আর্জি জানান, মহিষগুলি চিহ্নিতকরণের প্রয়োজন আছে। অতএব সেগুলিকে আদালতে নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হোক। আইনজীবীর আবেদনে সম্মতি দেয় আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলাটি আদালতে উঠলে চরণ সিংহ তার দু’টি মহিষ ট্রাকে করে নিয়ে আদালতে পৌঁছন। আদালত চত্বরে মহিষ দেখে সেখানে উপস্থিত লোকজন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। মহিষ দু’টিকে আদালতে পেশ করা হয়।
সেগুলি আদৌ চরণ সিংহের কি না তা নিশ্চিত হতে সুভাষ চৌধুরি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দাকে সাক্ষ্য দিতে ডাকা হয়। তিনি মহিষগুলিকে চিহ্নিতকরণের পর আবার চরণ সিংহের হাতেই প্রাণীগুলিকে তুলে দেওয়া হয়। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজার