চট্টগ্রামে সপ্তাহখানেক আগেও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০ এর নিচে। দুইদিনের ব্যবধানে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫ জন। আরও পাঁচ দিনের ব্যবধানে সে সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে বর্তমানে ৮২ তে এসে ঠেকেছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডায়রিয়ার প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এ তথ্য মিলেছে। হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি সময়ে ভারী বর্ষণের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে প্লাবিত হওয়ায় দূষিত হয়ে পড়েছে পানি। আর এসব পানি ব্যবহারের ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। সামনে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
এমন পরিস্থিতিতে পানি পানে সর্বোচ্চ সতর্কতার পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত করে পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধির সংখ্যার মধ্যে বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় রোগীর সংখ্যা এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছে। এসব এলাকায় রোগী বাড়ার কারণ হিসেবে বন্যা ও দূষিত পানি পান করাকে দায়ী করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যদিও ইতোপূর্বে এসব অঞ্চলে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ যাবতীয় ওষুধ পৌঁছানে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবুও বর্তমান পরিস্থিতিতে পানি পানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
তথ্য অনুসারে, গত ৭ আগস্ট চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ভর্তি হন মাত্র ৪৫ জন। সে সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে গতকাল (শনিবার) ৮২ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে ৯ আগস্ট ৫০ জন, ১০ আগস্ট ৭১ জন এবং গতকাল (শনিবার) ৮২ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে বোয়ালখালী উপজেলায় ১৬ জন, চন্দনাইশে ৮ জন, বাঁশখালী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় ৫ জন করে রোগী ভর্তি হন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ডায়রিয়া প্রতিরোধে ইতোপূর্বে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে স্যালাইনসহ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পৌঁছানো হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে অবশ্যই সকলকে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। প্রয়োজন হলে নিকটতম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তবে সবকিছুর পরও সকলকে সচেতন থাকা জরুরি।’
জেএন/এমআর