চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোডে যাত্রীবাহি বাসের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত মোটরসাইকেল চালক জিহাদুল ইসলামের (২৮) মারা গেছেন।
আজ বুধবার (১৬ আগষ্ট) বেলা দুইটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ নংওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।
নিহত জিহাদুল চন্দনাইশ উপজেলার কেশুয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। একই ঘটনায় আহত আরো তিনজন চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তারা হলেন, সিএনজি অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ রাজীব (১৮), নুরুল ইসলাম (৩৫) এবং জান্নাতুল মাওয়া (৪০)। এদের মধ্যে সিএনজি চালক রাজীবের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক।
এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোডের মাথায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে চারজন গুরুতর আহত হন। বেলা দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিহাদুল ইসলাম মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে ছেড়ে আসা মায়ের দোয়া নামের একটি যাত্রীবাহি বাস বহদ্দারহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। বাকলিয়া একসেস রোডের সামনে এলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
এ সময় সড়কের পাশে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ওপরে উঠে যায় বাসটি। এতে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে বাসটি জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহিম বলেন, পুলিশ আসার আগেই বাসচালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে আটকের চেষ্টা চলছে।
জেএন/পিআর