মিরসরাইয়ে তরুণিকে অপহরণের পর গণধর্ষণ: মূল হোতা গ্রেফতার

চট্টগ্রামের মিরসরাই হতে অপহরণের পর গণধর্ষণ এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলার মূলহোতা মো. নুর আলম রনিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

- Advertisement -

র‌্যাব-১ উত্তরা ও র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম যৌথ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগরের দক্ষিণখান থানার আজমপুর গুনবর মুন্সী স্বরনী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

- Advertisement -google news follower

মো. নুর আলম রনি পরশুরামের দক্ষিণ গুথুমা গ্রামের মো. শাহাব উদ্দিন মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী তরুনী চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকার বাসিন্দা।

বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানায় র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার।

- Advertisement -islamibank

র‌্যাব জানায়, তরুণীর সাথে ভুল নাম্বারের সূত্র ধরে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া এলাকার বাসিন্দা সাগর নামক এক যুবকের সাথে মোবাইলে কথাবার্তা হত। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সাগর তরুনীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়।

গত ১৮ জুলাই সাগর তরুণীর বাসার সামনে গিয়ে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে দেখা করতে বলে। তরুণী সরল বিশ্বাসে বাড়ি থেকে বের হলে সাগর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাগরের বন্ধুদের সহযোগিতায় জোরপূর্বক একটি সিএনজি তুলে পরশুরাম বাজারের একটি বাসায় নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে সাগর ও তার অপরাপর বন্ধু মিলে রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে তরুণীকে জোরপূর্বক ইয়াবা ট্যাবলেট ও মদ খেতে বলে। তরুণী ইয়াবা ও মদ খেতে অস্বীকার করলে সাগর হত্যার হুমকি দিলে তরুণীকে খেতে বাধ্য করে।

ইয়াবা ও মদ খাওয়ানোর পর ভিকটিম অচেতন হয়ে পড়লে সাগর ও তার ৪ বন্ধু মিলে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে।

পরদিন সকালে ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে রনি তাকে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও দেখায়। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে দিবে বলে হুমকি দেয়।

ওই তরুণী ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে নিজ বাড়িতে গেলে অসুস্থ হয়ে যায় বিষয়টি পরিবারের মদস্যদের সাথে পরামর্শ করে।

পরবর্তীতে গত ৩০ জুলাই তরুণী ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নুর আলম রনি (২৮) কে প্রধান আসামি করে মামলা দাযের করেন। অপর আসামীরা হলেন সাগর (২৩), রিপন(২৫), আরিফ(২৪) এবং সাকিব মুন্সী (২৫)।

আদালতের বিচারক অপরাধ আমলে নিয়ে পরশুরাম থানার ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ প্রদান করেন।

আদালতের আদেশের মূলে গত ১০ আগষ্ট পরশুরাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ (সংশোধিত ২০২০) তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এ একটি মামলা রেকর্ড করে।

র‍্যাব গোপন সূত্রের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ১৫ আগষ্ট মোঃ নুর আলম রনিকে ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণখানের আজমপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত রনির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে বুধবার পরশুরাম থানায় হস্তান্তর করে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM