চার জনের আছে একটা বিশ্বকাপ

বাংলার ক্রিকেটে বয়সটা দুই দশকেরও বেশী। হাসি কান্না ব্যর্থতার দুই দশকে জমে আছে ধূলোজমা ট্রফি, জিততে না পারার আক্ষেপ। লজ্জার গ্লানি কিংবা অবিশ্বাস্য কিছু অর্জন।বাংলার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন কিংবা গৌরবের অর্জন কোনটা, একটা প্রশ্ন বোধক চিহ্ন রাখা যেতেই পারে। তবে সেখানে যদি বলা হয় বড়দের তুলনায় ছোটরা করে দিয়েছে ১৬ কলা পূর্ণ করে এনে দিয়েছে একটা বিশ্বকাপ। ওদের ড্রয়িং রুমে জায়গা পেয়েছে অধরা বিশ্বকাপ।

- Advertisement -

২০২০ সালে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ জিতেছিলো বিশ্ব আসরে বিশ্বকাপ। সাউথ আফ্রিকার মাটিতে ডিপেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারানোটা কোনো ভাবেই চারটে কথা ছিলো না। ২৩ বল হাতে রেখে ভারতের বিপক্ষে তিন উইকেটের জয়ে বিশ্বজয় করে বাংলাদেশ।

- Advertisement -google news follower

সাকিব, তামিম, মুশফিকরা বড় আসরে কোনো ট্রফি জিততে না পারলেও বাংলার যুবাদের অসাধ্য সাধনে রীতিমতো অবাক হয়েছিলো কোটি ক্রিকেট ভক্তরা।

হাতের কর গুনে গুনে ঘনিয়ে আসছে ভারত বিশ্বকাপের সময়।সময়ের পরিক্রমায় অনুর্ধ্ব-১৯ দলের  যুব বিশ্বকাপ জয়ী যুবারা হয়েছে পরিণত, ধীরে ধীরে গায়ে জড়িয়েছে জাতীয় দলের স্বপ্নের লাল সবুজের জার্সি। যুব বিশ্বকাপ জয়ী ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে থাকা ৬ জন পেয়েছেন জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকার সুযোগ, খেলেছেন জাতীয় দলে বিভিন্ন ফরম্যাটে। তবে এবার নতুন করে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের উদ্ধোধনী ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিম। তামিমের গায়ে লাল সবুজের জার্সি উঠলেই যুব বিশ্বকাপ জয়ী ৭ জন ক্রিকেটার জায়গা পাবেন জাতীয় দলে।

- Advertisement -islamibank

শ্রীলংকার মাটিতে আসন্ন এশিয়া কাপে যুব বিশ্বকাপ ৭ ক্রিকেটারদের ভিতর ৪ জন জায়গা পেয়েছে স্কোয়াডে। শরিফুল ইসলাম, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তাওহীদ হৃদয় এবং তানজিদ হোসেন তামিম। যাদের আছে একটা যুব বিশ্বকাপ এবং সে বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা।

২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জয়ী এশিয়ার স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া ৪ ক্রিকেটারের ভিতর সবার প্রথমে আছে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন শরীফুল ইসলাম। ২০২১ সালের ২৮ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিলো শরীফুলের। এরপর একই বছরের ২৯ এপ্রিল শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্টে এবং ২৫ মে সে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে শরিফুলের।এরপর ২০২১ সালের ২৩ জুলাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয় শামীম হোসেন পাটোয়ারীর। ওয়ানডে ক্রিকেটের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও এশিয়া কাপে প্রথম বারের মতো জাতীয় দলের মাঠে মাতাবেন শামীম হোসেন। শামীম শরিফুলরা বহু আগে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ পেলেও তাওহীদ হৃদয়ের ‍সুযোগ মিলে প্রায় দুই বছর পর। ২০২৩ সালে ৯ মার্চ টি টুয়েন্টিতে অভিষেক হয় তাওহীদ হৃদয়ের। এরপর একই বছরের ১৮ মার্চ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই ফরম্যাটে যাত্রা হয় হৃদয়ের। এবার শুধু অভিষেক হওয়ার পালা তাদের আরেক সর্তীথ তানজিদ হোসেন তামিমের।

এবারের এশিয়া কাপে বাংলার যাত্রাটা একটু অন্যরকম আর অনন্য।নেই তামিম, নেই মাহমুদউল্ল্যাহ তবে আছে তারুণ্যে আর উদ্দীপনা।সাকিবরা এখনো বিশ্বআসরে কোনো ট্রপি জিততে না পারলেও স্কোয়াডে ‍সুযোগ পাওয়া ৪ জনের আছে যুব বিশ্বকাপ জয়ের উচ্ছ্বসিত অভিজ্ঞতা।

জেএন/রাহাত/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM