মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুকে নিয়ে একটি সংগঠন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর সবুজবাগে ‘স্বস্তি’ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটা সংগঠন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলা করার জন্য চেষ্টা করেছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যা যা করা দরকার আমরা করব।
তিনি বলেন, নির্বাচনি মাঠ ঘোলা করার জন্য অনেক শক্তি মাঠে নামবে, আইনশৃংখলা অবনতি করার চেষ্টা করবে। তবে এই চেষ্টা কেউ করলে বাংলাদেশ পুলিশ কঠোর হস্তে দমন করবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১৭ আগস্টের আজকের এই দিনে সারাদেশের ৬৩ জেলায় জঙ্গিরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গিরা জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। যারা তখন ক্ষমতায় ছিলেন আমি বলবো তাদের মদদে বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছিল। বাংলাদেশ পুলিশ ও জনগণ জঙ্গি রাষ্ট্র হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত রক্ষা করে চলেছে।
‘হলি আর্টিজানে হামলাসহ সারা বাংলাদেশে জঙ্গিদের যে ভয়াবহ তাণ্ডব শুরু হয়েছিল দেশে ও বিদেশি চক্রান্তে তার মূল কারণ ছিল বাংলাদেশের উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়া। আপনাদের সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ সেই জঙ্গি দমন করতে পেরেছে, নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। কিন্তু জঙ্গি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি, কিছুদিন আগেও দেখেছেন ডিএমপির সিটিটিসি সিলেটের গভীর অরণ্য থেকে আবার নতুন জঙ্গিদেরকে গ্রেপ্তার করেছে।’
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরিত করার ফলে অপরাধীরাও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে মন্তব্য করে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ডিজিটাল সুবিধা নিয়ে জঙ্গিরাও সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছে, তারা এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। ডিজিটালের ফলে মোবাইলের বিভিন্ন আ্যপসে ব্যবহার করছে তারা। তবে পুলিশ তাদের থেকে পিছিয়ে থাকতে পারেনা। অপরাধীরা ডালে ডালে চললে আমাদের পাতায় পাতায় চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীতে প্রায় দুই কোটি লোকের বসবাস। বিদেশি সংস্থাসহ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ, সচিবালয়সহ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এটি আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি এটি নির্বাচনি বছর। এই বছরে নির্বাচনি মাঠ ঘোলা করার জন্য অনেকেই মাঠে নামবে, অনেকেই আইনশৃঙ্খলা অবনতি করার চেষ্টা করবে এবং নির্বাচন বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করবে। আইনশৃঙ্খলা নাসাৎ করার চেষ্টা করলে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের সহযোগিতা নিয়ে কঠোর হস্তে তাদেরকে দমন করবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, তিন-চার দিন আগেই দেখা গেছে জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতার হার্ট আ্যটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ নিয়ে একটি মহল আইনশৃঙ্খলা ঘোলা করার জন্য চেষ্টা করছিলো, কিন্তু সেটি সফল হয়নি।
জেএন/এমআর