দেশের নাগরিকদের পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করেছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এ স্কিম উদ্বোধনের পর থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাত পর্যন্ত প্রথম কিস্তির টাকা জমা দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ২ হাজার ৯৫০ জন নিবন্ধন করেছেন। যদিও সাধারণ নিবন্ধনের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে শনিবার (১৯ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিয়ন্ত্রণ) বিলকিস জাহান রিমি বলেন, নিবন্ধন উৎসাহব্যঞ্জক। তবে আমরা শুধু রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু টাকা জমা দেননি সেই হিসাবটা করতে চাইছি না। যারা টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন নিয়েছেন, সেই সংখ্যাটা বিবেচনায় নিচ্ছি।
তিনি বলেন, গতকাল রাত পর্যন্ত ২ হাজার ৯৫০ জন ব্যক্তি বিভিন্ন স্কিমে টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন নিয়েছেন। আজকের তথ্য এখনও আমরা নেইনি। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছেন। যেহেতু আমরা নিশ্চিত নই তারা স্কিম গ্রহণ করবেন কি না, তাই ওই সংখ্যাটা ধরছি না।
এর আগে উদ্বোধনের দিন ১৭ আগস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের জন্য কমপক্ষে ৬ হাজার ১০০ জন সাইন আপ করেছিলেন। যাদের ৪৬৩ জন তাদের প্রথম কিস্তির টাকা জমাও দিয়েছেন।
বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পরপরই সবার জন্য সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উন্মুক্ত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট www.upension.gov.bd চালু করা হয়েছে এবং ৪টি স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংকে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে দেশে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী, এ কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন গ্রাহক। চাঁদা পরিশোধের পর তিনি মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ১৫ বছর।
সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আপাতত চার ধরনের স্কিম চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম, অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম আর নিম্নআয়ের মানুষের জন্য রয়েছে সমতা স্কিম।
পরবর্তী সময়ে শ্রমজীবী ও শিক্ষার্থীদের জন্য আরও দুই ধরনের প্যাকেজ চালু করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
জেএন/এমআর